তেল সংকটের সমাধান না হলে সিলেটে লাগাতার ধর্মঘটের ডাক

সুরমা নিউজ ২৪ ডট নেট
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:৪৩:২৯,অপরাহ্ন ২২ ফেব্রুয়ারি ২০২১- 32Shares
এবার কঠোর অবস্থানে যাচ্ছেন সিলেটের পাম্প মালিকরা। দ্রুত জ্বালানি তেলের সংকট সমাধান না হলে লাগাতার ধর্মঘটের ডাক দেবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
পাম্প মালিকরা জানান, চাহিদার তুলনায় তেল সরবরাহ কম হওয়ায় বিভাগের ১১৪টি পেট্রল পাম্প বন্ধের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে নিরবচ্ছিন্ন রেলের তেলবাহী ওয়াগন না আসায় এবং সিলেটের গ্যাস ফিল্ডগুলোর খনি থেকে জ্বালানি তেল উৎপাদন বন্ধ রাখায় এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। পাম্প মালিকরা আগামী রোববারের (২৮ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে সিলেটে তেল সংকটের সমাধান না হলে লাগাতার ধর্মঘটের ডাক দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন।
এর আগে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটার্স এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের গত ২৭ ডিসেম্বর ধর্মঘটের ডাক দিলেও জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে ২৬ ডিসেম্বর ধর্মঘট স্থগিতের ঘোষণা দেন অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা। সিলেট বিভাগের চার জেলায় ১১৪টি পেট্রল পাম্প রয়েছে।
এ লক্ষ্যে সোমবার সকালে সিলেট বিভাগ পেট্রল পাম্প অ্যান্ড ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা সিলেটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আ ন ম বদরুদ্দোজার সঙ্গে দেখা করে সমস্যা ও তেল সংকটের বিষয়ে অবগত করেন। এ সময় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সিলেটে তেলের সংকট সমাধান করার জন্য বিষয়টি রেলওয়ের কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলে দ্রুত সমস্যা সমাধান করার আশ্বাস দেন।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস ডিস্ট্রিবিউটরস এজেন্ট অ্যান্ড পেট্রোলিয়াম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় মহাসচিব ও সিলেট বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক জুবায়ের আহমদ চৌধুরী জানান, আমাদের সমস্যার কথা একাধিকবার জেলা প্রশাসনকে জানালেও তারা আমাদের কথা রাখেননি। এমনকি তাদের আশ্বাসে আমরা ধর্মঘট স্থগিত করেছি। আমাদের কাছ থেকে জেলা প্রশাসক মহোদয় সময় নিয়েছিলেন সমস্যা সমাধান করার। কিন্তু তাতে কোনো লাভ হয়নি। সমস্যা রয়ে গেছে। আমরা জেলা প্রশাসনকে আমাদের বক্তব্য জানিয়ে দিয়েছি যে, আগামী রোববারের (২৮ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে সিলেট বিভাগের তেলের যে সংকট রয়েছে তা সমাধান না হলে এবং সিলেট গ্যাস ফিল্ড থেকে তেল উৎপাদন শুরু না করলে লাগাতার ধর্মঘট চলবে।
তিনি আরও বলেন, সিলেটে ডিজেল সরবরাহ ওয়াগননির্ভর হওয়ায় প্রায়ই নানা সমস্যার সৃষ্টি হয়। এছাড়া সিলেটের গোলাপগঞ্জের গ্যাসফিল্ডের খনি থেকে জ্বালানি তেল উৎপাদন প্রায় ছয় মাস বন্ধ থাকায় সংকট কাটিয়ে ওঠা যাচ্ছে না। সিলেটে প্রতিদিন ১০ লাখ লিটারেরও বেশি জ্বালানি তেলের চাহিদা থাকলেও প্রতিদিন তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ লিটার তেল আসছে।
তিনি অভিযোগ করেন, ব্যক্তিস্বার্থের কারণে সিলেটের গ্যাসফিল্ডের খনি থেকে জ্বালানি তেল উৎপাদন বন্ধ রাখা হয়েছে। আগে সপ্তাহে ৩ রেক তেল আসলেও এখন আসে ১ রেক তেল; যা সিলেটের চাহিদার তুলনায় অনেক কম। এতে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলারস ডিস্ট্রিবিউটরস এজেন্ট অ্যান্ড পেট্রোলিয়াম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সিলেটের সভাপতি মোস্তফা কামাল, অর্থ সম্পাদক সিরাজুল হুসেন আহমদ, সহ-সাধারণ সম্পাদক ফয়জুল ইসলাম, সদস্য শাহেদ মোশফিকুর রহমান চৌধুরী শাহেদ, এনামুল হক রুবেল, জুবের আহমদ চৌধুরী খোকন, রিয়াদ উদ্দিন, ইউনুস মিয়া, সানওয়ার আলী, আব্দুস কুদ্দুস তালুকদার।
- 32Shares