অথচ দুর্ঘটনায় ক্যারিয়ারটাই শেষ হতে বসেছিল সিলেটি সাদের

স্পোর্টস ডেস্ক
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:২৯:৪১,অপরাহ্ন ১৬ অক্টোবর ২০১৯স্বপ্নের দাফন হয়ে যেতে পারতো সেদিনই। বছর খানেক আগের ঘটনা। সড়ক দুর্ঘটনায় বাঁ পায়ে শক্ত চোট পেয়েছিলেন সিলেটের সাদ উদ্দিন। ক্যারিয়ারে নেমে এসেছিল ঘুটঘুটে অন্ধকার। খেলাটাই পায়ের। যেমন চোট পেয়েছিলেন, সাদ উদ্দিন আর মাঠে নামতে পারবেন কিনা- সেটা নিয়েই ছিল সংশয়।
কিন্তু সাদ তো হাল ছাড়ার পাত্র নন। চোটকে জয় করলেন, জাতীয় দলে জায়গাও ফিরে পেলেন। এবার তো বনে গেলেন নায়ক। মঙ্গলবার কলকাতার সল্টলেকে যুবভারতীয় স্টেডিয়ামের হাজার হাজার দর্শককে নিশ্চুপ করে দিলেন বাংলাদেশের এই স্ট্রাইকার, দুর্দান্ত এক গোলে। যে গোলে ভর করে হয়তো জয় নিয়েই মাঠ ছাড়তে পারতো লাল সবুজ জার্সিধারীরা। শেষ সময়ের ভুলে ড্র হওয়ায় যদিও পূর্ণ তৃপ্তি নিয়ে মাঠ ছাড়া যায়নি।
লাইমলাইটের আলোয় চলে আসা এই স্ট্রাইকার ভারতের কলকাতার জনপ্রিয় সংবাদমাধ্যম ‘আনন্দবাজার’কে দেয়া এক সাক্ষাতকারে জানালেন, একটা চোট কেমন করে তার ক্যারিয়ারটাই শেষ করে দিতে বসেছিল।
সেখান থেকে কিভাবে ফিরেছেন সেই গল্পটাও শোনালেন সাদ। তার ভাষায়, ‘বছর খানেক আগে এক পথ দুর্ঘটনায় আমার ফুটবল জীবনে নেমে এসেছিল প্রশ্নচিহ্ন। বাঁ পায়ে প্রচণ্ড চোট লেগেছিল। মাঠের বাইরে বসে অনেকগুলো ম্যাচ আমাকে দেখতে হয়েছিল। একজন ফুটবলারের মাঠের বাইরে বসে থাকা যে কতটা যান্ত্রণার, তা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। চোট সারিয়ে ফেরার পরে কত মানুষ কত রকমের কথা বলেছে। কঠিন সময়ে দাঁতে দাঁত চেপে প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, আমাকে ফিরে আসতেই হবে। নিজেকে প্রমাণ করতেই হবে। কলকাতায় এসে এ রকম একটা ম্যাচে গোল করতে পেরে আমার খুব ভাল লাগছে।’
সাদের জেদ সম্পর্কে ধারণা আছে বাংলাদেশ দলের ইংলিশ কোচ জেমি ডে’রও। শিষ্যকে নিয়ে তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনায় চোট পেয়ে বেশ কয়েক মাস সাদ উদ্দিন খেলতেই পারেনি। কিন্তু, ওর প্রচণ্ড জেদ। মাঠে ফেরার জন্য প্রচুর খেটেছে। দারুণভাবে ফিরেও এসেছে। ভাল খেলার তীব্র ইচ্ছা রয়েছে ওর। ওর খেলায় আমি সন্তুষ্ট।’
শুধু কোচ জেমি ডে নন, সাদের পারফরম্যান্সে তুষ্ট পুরো ১৮ কোটি বাংলাদেশি ফুটবল ভক্তও। ওহ, শুধু বাংলাদেশ বললে তো ভুল হবে। কলকাতার ফুটবলপ্রেমীরাও নন কি! ম্যাচ না জিতলেও বাংলাদেশের ফুটবলাররা যে হৃদয় জিতে নিয়েছেন।