আখাউড়ায় রাস্তা প্রশস্ত করতে ৬০ বছরের ড্রেন বন্ধ

আখাউড়া প্রতিনিধি:
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:৫৯:২৫,অপরাহ্ন ২০ জানুয়ারি ২০২৩ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় রাস্তা প্রশস্ত করে উন্নয়ন কাজের জন্য ৬০/৭০ বছরের পুরনো একটি সেচের ড্রেন বন্ধ হয়ে গেছে। এ কারণে শতাধিক বিঘা জমিতে পানি সরবরাহ করতে পারছেন না কৃষকেরা। পানির অভাবে চলতি বুরো মৌসুমে চাষাবাদ ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ওই জমিগুলো চাষাবাদ করতে পারলে প্রায় ১৬ মে: টন ধান উৎপাদন করতে পারবে বলে আশা করছে কৃষকেরা।
চাষাবাদ অব্যাহত রাখতে পানি সরবরাহের সুবিধার্থে ড্রেনটি দ্রুত নির্মাণ করার জন্য অর্ধশত কৃষকের স্বাক্ষর সংযুক্ত করে প্রশাসনের কাছে লিখিত আবেদন করেছেন কৃষক আব্দুল হাফিজ ভূঁইয়া।
১৪ ডিসেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) অংগ্যজাই মারমা ও উপজেলা কৃষি অফিসার শাহানা বেগমের কাছে এ আবেদন করা হয়। আখাউড়া-আগরতলা সড়কের উত্তর পাশে হীরাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে যাওয়ার সড়কের পাশ ঘেষে এ ড্রেনটি ছিল। লিখিত আবেদন ও সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের হীরাপুর স্কুল এবং ঈদগাহের পাশে একটি কৃষি মাঠ রয়েছে। এখানে প্রায় দেড় ’শ বিঘা জমি রয়েছে। আখাউড়া-আগরতলা সড়কের পাশের খাল থেকে ডিজেল পাম্প চালিত মেশিন দিয়ে জমিগুলোতে পানি সরবারাহ করা হতো। হীরাপুর স্কুলে যাওয়ার রাস্তার পাশে ৬০/৭০ বছরের পুরনো প্রায় ৫০০ মিটার দীর্ঘ একটি ড্রেন ছিল। এই ড্রেনের মাধ্যমে জমিতে সেচের পানি নেওয়া হতো। সম্প্রতি রাস্তাটি প্রশস্ত করে উন্নয়ন করা করার কারণে ড্রেনটি বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে জমিতে পানি নিতে পারছে না কৃষকেরা। এতে সাতপাড়া, নুরপুর লামার বাড়ি, দ্বিজয়পুর, এবং বড় কুড়িপাইকা গ্রামের জমির মালিকেরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন। এসব জমি অনাবাধি থাকলে প্রায় ৪/৫ হাজার মন ধান উৎপাদন না হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা। পানি সরবরাহের জন্য দ্রুত ড্রেনটি নির্মাণ করার দাবী জানিয়েছেন ভূক্তভোগী কৃষকেরা
বড় কুড়িপাইকা গ্রামের হাজী মোঃ মিজানুর রহমান বলেন রাস্তা প্রশস্ত করার কারণে রাস্তার পাশে যে ড্রেন ছিল তা বন্ধ হয়ে গেছে। এতে ৪টি মৌজার শতাধিক বিঘা জমিতে চাষাবাদ অসুবিধা হচ্ছে। চাষাবাদ করতে না পারলে কৃষকেরা অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হবে। দ্রুত ড্রেনটি নির্মাণ করর দাবী জানাচ্ছি।
মমিনুল হক ভূইয়া নামে আরেকজন কৃষক বলেন আমরা দীর্ঘ বছর ধরে আমরা ড্রেন করে জমিতে চাষাবাদ করে আসছি। রাস্তা প্রশস্ত করার সময় ড্রেনটি ভেঙ্গে ফেলে। আমরা তাদেরকে বার বার নিষেধ করেছিলাম ড্রেনটি না ভাঙার জন্য। ইঞ্জিনিয়ার সাবসহ অন্যরা আমাদেরকে আশ^স্ত করেছিল ড্রেনটি পুনরায় নির্মাণ করে দিবেন। কিন্তু বিগত ২ বছর যাবত কৃষকেরা পানি থেকে বঞ্চিত । এজন্য আমরা চাষাবাদ করতে পারছি না।
এ ব্যপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শাহানা বেগম বলেন, রাস্তা প্রশস্ত করার সময় কৃষকদের সেচের পানির ড্রেনটি প্রায় ৫০০ মিটার নষ্ট হয়ে গেছে। এজন্য কৃষকের সেচের পানি নিতে পারছেন না। কৃষকের আবেদন পেয়ে আমরা এলাকাটি পরিদর্শন করেছি। আমরা সরকারের বিভিন্ন সেচ সহায়তাকারী প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করেছি। এ মৌসুমে কৃষকেরা যদি কোন ভাবে ম্যানেজ করে চাষাবাদ করে। তাহলে আগামী মৌসুমে ড্রেনটির সমাধান হবে বলে আশা করি।