‘আতিথেয়তায় সিলেটিরাই সেরা’

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশিত হয়েছে : ১২:০৪:৫৪,অপরাহ্ন ২৭ অক্টোবর ২০১৯ঢাকা থেকে আসা এক ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীর অভিভাবক জানান, সারাদিন ধরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছিল, কাল এসেছি, এখানে আসার পর পরিবহন সুবিধা থেকে শুরু করে সর্বত্র সিলেটবাসীর আথিতেয়তায় আমি মুগ্ধ। শুধু আমি নই অনেক অভিবাবকই সুযোগ সুবিধা দেখে মুগ্ধ হয়েছেন।
সিলেট চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির দেওয়া ২০টি বাসেও পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়া হয়। এছাড়া বিভিন্ন বাইকার সংগঠন ও স্বেচ্ছাসেবীরাও পরীক্ষার্থীদের সাহায্য করেন কেন্দ্রে পৌঁছে দিতে সহায়তা করেন। সিলেটের বিভিন্ন সামাজিক ও সেচ্ছাসেবী সংগঠন গতকাল থেকেই শিক্ষার্থী ও অভিবাবকদের নানাভাবে সহযোগীতায় এগিয়ে আসে।
অনেকেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আহবান জানান সিলেটে আসা শিক্ষার্থী ও অভিবাবকদের যেন কোন ধরণের হয়রানি না করা হয়, যার যার অবস্থান থেকে সহযোগীতার আহবান জানানো হয়।
‘এ ইউনিটের’ পরীক্ষার্থীদের সকাল সাড়ে ৬টা থেকে বাস, মাইক্রোবাস, রিকশা ও অটোরিকশাযোগে কেন্দ্রে যেতে দেখা যায়।
দেশের বিভিন্ন জায়গা থাকে পরীক্ষার্থীরা দুই-একদিন আগেই সিলেটে চলে আসেন। অভিভাবকসহ এ সংখ্যা প্রায় লাখের কাছাকাছি। এজন্য নগরীর সকল হোটেল-মোটেল, রেস্ট হাউজ সব গতকাল (শুক্রবার) বুকিং হয়ে যায়।
সকালে এ ইউনিটের পরীক্সষায় সবকটি কেন্দ্রের বাইরে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার হলে ঢুকিয়ে অভিভাবকদের বাইরে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে দেখা যায়। বৃষ্টি আসলেই অনেক অভিভাবককে দেখা গেছে দৌঁড়ে পার্শ্ববর্তী মার্কেট, দোকান ও যাত্রী ছাউনিতে আশ্রয় নিতে। আশ্রয় না পেয়ে অনেক অভিভাবককে আবার দেখা গেছে বৃষ্টিতে ভিজে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকতে।
সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এ ইউনিটের’ ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। তবে সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে বিড়ম্বনায় পড়েন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা।
শনিবার (২৬ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৯টায় সিলেটের ৪৩টি কেন্দ্রে একযোগে শুরু হয়ে বেলা ১১টায় শেষ হয় এ পরীক্ষা।
এবার বিশ্ববিদ্যালয়টির ‘এ ইউনিটে’ ৬১৩টি আসনের বিপরীতে ভর্তির জন্য আবেদন করেন ২৭ হাজার ৩৯ জন পরীক্ষার্থী।