ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে সিলেটে গাউসিয়া কমিটির জশনে জুলুস

সুরমা নিউজ ডেস্ক:
প্রকাশিত হয়েছে : ২:১৯:৫৬,অপরাহ্ন ১১ নভেম্বর ২০১৯পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (দঃ) উপলক্ষে গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ সিলেট জেলার উদ্যোগে জশনে জুলুস বের করা হয়। রোববার সকাল ১০টায় মিছিলটি নগরীর হযরত শাহজালাল (রঃ) মাজার প্রাঙ্গণ থেকে বের হয়ে নগরীর প্রধান সড়কগুলো প্রদক্ষিণ করে জালালাবাদ থানার মইয়ারচরস্থ মাদরাসা-এ-তৈয়বিয়া তাহেরিয়া হেলিমিয়া সুন্নিয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে জুলুসোত্তর আলোচনা সভা, মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
মিলাদ মাহফিল শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ১৯৭৪ সালে কয়েক হাজার ধর্মপ্রাণ মুসল্লিকে নিয়ে দরবারে সিরিকোটের আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহের (র.) নির্দেশ ও রূপরেখা অনুসরণ করে আনজুমান ট্রাস্ট চট্টগ্রামে প্রথম জুলুস প্রবর্তন করে। মানবতার মুক্তির দূত হযরত মুহাম্মদ (দ.) এই পৃথিবীতে মানব জাতির মুক্তির জন্য ইসলাম ধর্ম প্রচার করেছেন। ইসলামের সঠিক জ্ঞান আহরণ করে সঠিক ভাবে তা মেনে চলার জন্য আহ্বান জানান।
এসময় বক্তারা বলেন, মহানবী হজরত মুহাম্মদ (দ.) এর জন্ম দিবস আজকের এই দিনে। ৫৭০ খৃস্টাব্দের এ দিনে মক্কায় জন্ম গ্রহণ করেন। আইয়ামে জাহেলিয়াতের অন্ধকার দূর করতে এই দিনে তৌহিদের মহান বাণী নিয়ে এসেছিলেন এ মহানবী হযরত মুহাম্মদ (দ.)। বিশ্বের মুসলিম সম্প্রদায়সহ শান্তিকামী প্রত্যেক মানুষের কাছে আজকের দিনটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
বক্তারা আরও বলেন, প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (দ.) বিশ্ব মানবতার জন্য আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ করুণা ও অনুগ্রহ। মহানবীর আগমন ছিল সকল সৃষ্টির জন্য রহমত, বরকত ও মহা আনন্দের। তিনি সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও ধর্মীয় তথা সার্বিক দিক থেকে অধঃপতনের চরম সীমায় নিমজ্জিত সমাজকে খোদায়ী নির্দেশনার আলোকে সম্পূর্ণরূপে বদলে দিয়েছিলেন। গোটা মানব সমাজকে শান্তি, সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য, ভ্রাতৃত্ব ও মানবতার মহান আদর্শে উজ্জীবিত করেছিলেন। তিনি ইনসাফভিত্তিক শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খল রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে অনুসরনীয় নজীর স্থাপন করেন। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের যথাযথ অধিকার নিশ্চিত করে গেছেন। তাঁর জীবনের প্রতিটি দিকই তাই সকলের জন্য অনুসরণীয়। ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে রাষ্ট্র পরিচালনা পর্যন্ত সকল ক্ষেত্রে তিনি সারা দুনিয়ার জন্য শ্রেষ্ঠতম আদশ।
গাউসিয়া কমিটি সিলেট জেলা সভাপতি মিসবাহ উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোহাম্মদ জালালুদ্দিন আল ক্বাদেরীর পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন, সিলেট সিটি কর্পোরেশন মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী, সাবেক সিভিল সার্জন ডা. ওয়ালী মাহমুদ খান, ১নং মোল্লারগাও ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মকন মিয়া, দরগাহে হযরত শাহজালাল (রা.) মুতাওয়াল্লী শামিউল মাহমুদ খান, রাজনীতিবিদ আজিজুল হক চৌধুরী, সাবেক চেয়ারম্যান কছির উদ্দি, মো. ইলিয়াছ আলী মেম্বার, ফজিলাতুন্নেছা মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ মাওলানা আহমদ আলী হেলালী, গাউসিয়া কমিটি সিলেট জেলার সাধারণ সম্পাদক হুশিয়ার আলী, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র সেনার সাবেক সভাপতি মুহাম্মদ নুরুল হক চিশতী, মাওলানা আনোয়ার হোসেন আনসারী, মাওলানা আজিজুর রহমান, মাওলানা নুরুল আমিন, এস.এ.এম শহিদুল ইসলাম সেলিম, মাওলানা মতিউর রহমান, মাওলানা মাসুদ আহমদ চৌধুরী, মাওলানা আবু গফুর সিদ্দিকী।
এসময় অন্যান্যর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, তাহেরিয়া ওয়েলফেয়ার সোসাইটি সিলেটের সভাপতি মুহা. মাহবুব আলী চৌধুরী, সিনিয়র সহ সভাপতি জুবায়ের আহমদ, সহ সভাপতি মুহা. সাইফুর রহমান, মুহা. ইমাম উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মুহা. রাকিবুল হাসান, সহ সাধারণ সম্পাদক মুহা. শাহেদ আলী, সাধারণ সম্পাদক মুহা. মিসবাহ শিহাব, সাংগঠনিক সম্পাদক মুহা. আব্দুল্লাহ, অর্থ সম্পাদক মুহা. আলী আজগর চৌধুরী, সহ অর্থ সম্পাদক তাওহিদুল ইসলাম জুবায়ের, প্রচার সম্পাদক মুহা. লায়েক আহমদ, সহ প্রচার সম্পাদক আশিকুর রহমান রায়হান, আফদ্বল আহমদ, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মুহা. ইদ্রিছ আলী, ছাত্র কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মুহা. মাশুকুর রহমান, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মো. নাঈম উদ্দিন, সহ সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহমান রুবেল প্রমুখ।