ওসমানীনগরে ‘পুলিশ কর্মকর্তা’ পরিচয়ে নিরিহ মানুষকে হয়রানি অভিযোগ

সিলেটের ওসমানীনগরে উসমানপুর ইউনিয়নের রাউৎখাই গ্রামের মৃত আব্দুল বারীর পুত্র প্রবাসী মো: কামাল আহমদের বিরুদ্ধে পুলিশের ‘আইজি’ পরিচয় দিয়ে প্রভাব বিস্তার, জায়গা দখলের চেষ্টা এবং নিরীহ মানুষকে মিথ্যে মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ করেছেন তাজপুর ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার ইকবাল হোসেন মোস্তাক।

বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) দুপুরে উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এই অভিযোগ করেন তিনি।

লিখিত বক্তব্যে মোস্তাক অভিযোগ করেন, কামাল নিজেকে কখনো পুলিশের ‘আইজি’ আবার কখনো যুক্তরাজ্যের ম্যানচেষ্টার আওয়ামী লীগের নেতা পরিচয় দিয়ে মানুষকে হয়রানি করে আসছেন।

২০১৯ সালে পুশিল হেডকোয়ার্টারের তথ্যের ভিত্তিতে কামালের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আবু বকর শাকিল ওরফে নাজমুল ছাকীব (২৮) নামের এক ভূয়া পুলিশ কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়। যে নিজেকে পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করত। এলাকায় কামালের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে মামলা এবং হামলা দিয়ে হয়রানি করে সে। ইতোমধ্যে নিরীহ মানুষের বিরুদ্ধে দায়ের করা একাধিক মামলা পুলিশ তদন্তে মিথ্যে প্রমাণিত হয়েছে বলে জানান তিনি।

মোস্তাক বলেন, তাজপুর বালাগঞ্জ সড়কের মোল্লাপাড়া এলাকায় বালাগঞ্জের মজলিসপুর গ্রামের প্রবাসী আব্দুল খালিকের বাসা দখলের পায়তারা চালায় কামাল ও তার সহযোগিরা। বিষয়টি নিয়ে একাধিক গ্রাম্য সালিশ বসলেও সে কাউকে পাত্তা না দিয়ে উল্টো শালিসকারীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি শুরু করে। চলিত বছরের ২৮ মে সহযোগিদের নিয়ে জোরপূর্বক বাসাটি দখলের চেষ্টা করলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে একজনকে আটক করলেও কামাল ও তার সহযোগিরা পালিয়ে যায়। এই ঘটনায় কামালসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়। উক্ত মামলায় অন্যান্য আসামীরা আদালতের জামিনে মুক্ত থাকলেও মূলহোতা কামাল জামিন ছাড়াই প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বোয়ালজুড় ইউনিয়নের আবদুল আজিজ ও সুন্দর আলী।

এব্যাপারে ওসমানীনগর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, কেউ যদি ভূয়া পুলিশ কর্মকর্তা পরিচয় দেয় তাহলে আমরা তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেব।