ওসমানীনগর উপজেলা কমপ্লেক্স : নির্ধারিত সময়ে শেষ হচ্ছে না নির্মাণ কাজ

ওসমানীনগর প্রতিনিধি
প্রকাশিত হয়েছে : ১১:৪৪:৪৪,অপরাহ্ন ১৬ অক্টোবর ২০১৯সিলেটের ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদের কমপ্লেক্স ভবন ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাস ভবন নির্মান কাজের ধীর গতির কারণে প্রায় ১ বছরে মাত্র ১৬ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রাক্কলন অনুযায়ী নির্মাণ কাজের মেয়াদ শেষ পর্যায়ে হলেও গত প্রায় ১ বছরে ফাইলিংয়ের কাজও সম্পন্ন হয়নি। এতে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কাজ শেষ হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।
জানা যায়, প্রায় ৯কোটি ১৫ লাখ টাকা ব্যয়ে নবগঠিত ওসমানীনগর উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ কাজ পায় ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মের্সাস বেঙ্গল নির্মাণ আর এস (জেবি)। প্রাক্কলন অনুযায়ী গত বছরের ১৬ নভেম্বর থেকে কাজ শুরু হয়ে আগামী বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার কথা। কিন্তু এখন পর্যন্ত ফাইলিংয়ের কাজও সম্পন্ন করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। একই অবস্থা বিরাজ করছে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তার বাসভবন নির্মাণেও। একই সময়ে প্রায় ১কোটি ২১ লাখ টাকা ব্যয়ে বাস ভবন নির্মাণের কাজটি পায় মের্সাস এস কন্সট্রাকশন। প্রতিষ্ঠানটি সম্প্রতি ফাইলিংয়ের কাজ শেষ করে বেস ঢালাইয়ের কাজ শুরু করেছে। ওয়ার্ক ওর্ডার অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে কাজ সম্পন্ন হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই বলেও জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা।
এদিকে নিজস্ব ভবন না থাকায় ইলাশপুর, তাজপুর ও গোয়ালাবাজারের বিভিন্ন জায়গায় ভাড়া বাসা-বাড়িতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর। প্রয়োজনীয় সুযোগ সুবিধার অভাবে চরম দুর্ভোগে রয়েছেন কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। অন্যদিকে বিভিন্ন জায়গায় দপ্তর গুলো থাকায় সেবা গ্রহিতাদেরও ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। অনেকে অফিস গুলো খোঁজে পেতেও ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। এছাড়া প্রশাসনের প্রতিটি দপ্তরে জনবল সংকট রয়েছে। বিভিন্ন দপ্তরে ১-২জন কর্মকর্তা কর্মচারী রয়েছেন। প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা, জনবল সংকট ও আসবাবপত্রের অভাবে দাপ্তরিক কাজ সুচারুরূপে করতে পারছেন না তারা। এমনকি জনবলের অভাবে অনেক সময় বিভিন্ন দপ্তরের অফিসে তালা ঝুলতেও দেখা যায়।
এলাকাবাসীর দীর্ঘদিনের দাবির প্রেক্ষিতে ২০১৪ সালে তৎকালীন বালাগঞ্জ উপজেলাধীন ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত ওসমানীনগর থানাকে উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করেন প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২০১৫ সালের জুলাই মাসে ভাড়া করা বাসায় শুরু হয় নতুন উপজেলা প্রশাসনের দাপ্তরিক কার্যক্রম।
কমপ্লেক্স নির্মাণকারী মের্সাস বেঙ্গল নির্মাণ আরএস (জেবি) প্রতিষ্ঠানের সত্ত্বাধিকারি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ঝড়, বৃষ্টি ও বর্ষার পানি থাকায় নির্মাণ কাজ শুরু করতে বিলম্ব হয়েছে। দ্রুত গতিতে কাজ অব্যাহত রাখলেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হওয়ার সম্ভাবনা নেই।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবন নির্মাণকারী মেসার্স এস কন্সট্রাকশনের সত্ত্বাধিকারি শামীম আহমদ সুরমা নিউজ টুয়েন্টি ফোর ডট নেটকে বলেন, অধিগ্রহণকৃত ভূমিতে ফসলী জমি বুঝে পেতে বিলম্ব এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কাজ শুরু করতে দেরি হয়েছে। সম্প্রতি আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্মাণ কাজের মেয়াদ একবছর বৃদ্ধি করা হয়েছে।
এব্যাপারে উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) সিলেটের নির্বাহী প্রকৌশলী এএসএম মহসিন বলেন,উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ তাহমিনা আক্তার বলেন, বিগত সময়ে কাজের ধীর গতির কারণে এখনো ফাইলিংয়ের কাজও শেষ হয়নি। নিজস্ব ভবনের অভাবে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তর বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা ও জনবল সংকটের কারণে শান্তিপূর্ণ ভাবে কার্য সম্পাদনেও ব্যাঘাত ঘটছে।