সিলেটে কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ বিখ্যাত একজন ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন!

গুলজার আহমেদ
প্রকাশিত হয়েছে : ৭:৫৪:৪৯,অপরাহ্ন ০৫ নভেম্বর ২০১৯রবীন্দ্রনাথের আগমনের শত বছর উপলক্ষে সকালে সিলেট সিটি কর্পোরেশন একটি র্যালী বের করে। সংগত কারণেই র্যালী শুরু হওয়ার মিনিট ৩০ আগে চলে যাই। গিয়ে দেখলাম নগর প্রধান সহ সম্মানীত সকল কাউন্সিলর বৃন্দও, সব কর্মকর্তা কর্মচারীর গায়ে নতুন পোষাক, প্রকার ভেদে কেউ পড়েছেন পাঞ্জাবি , কেউ পড়েছেন টি সার্ট। তবে পোষাকে শ্রেনী বৈষম্য থাকলেও এক যায়গায় মিল ছিল – সব পোষাকেই রবীন্দ্রনাথের ছবি আঁকা ছিল । ব্যাপারটি দেখে আমি অবিভুত। গর্বে বুকটা ৩৭ ইঞ্চি থেকে ৩৯ ইঞ্চি হয়ে গেল। ভাবলাম খোদ সিটি কর্পোরেশনের সবাই ই যদি রবীন্দ্রনাথকে এত লালন করে তাহলে না জানি সিলেটের সাহিত্য সংস্কৃতি পাড়ায় রবীন্দ্রাথের কদর কেমন ! এমন আয়োজন শুধু আমি নয় পুরো সিলেটের গর্ব করা উচিত সিটি কর্পোরেশনের রবীন্দ্রমেলার জন্য।
যাক হাতে সময় কম- একটা বিষয় বলে নেই । র্যালী শুরুর ২০/২৫ মিনিট আগে র্যালীর টি সার্ট পড়া এক ভদ্রলোককে ইশারা দিয়ে কাছে ডাকলাম, (তিনি তৃতীয়/চতুর্থ শ্রেনীর কোন কর্মকর্তা বা কর্মচারী হবেন অনুমান) কানে কানে জিজ্ঞেস করলাম ভাই এখানে কিসের আয়োজন, আমাকে একটা টি সার্ট দেয়া যাবে কি । জবাবে সেই রবীন্দ্রপ্রেমি আমাকে বললেন আরে আজকে তো রবীন্দ্রাথ কে নিয়ে র্যালি হবে । আবারো জিজ্ঞেস করলাম রবীন্দ্র দা এসেছেন-সেই মহাশয় জবাব দিলেন, না তিনি ব্যস্ততার কারনে আজ আসতে পারেন নি, ভারতে আছেন । কিন্তু তারপরও র্যালী হবে । আর টি সার্ট শেষ , নাই দেয়া যাবে না । তারপর আবার জিজ্ঞেস করলাম ভাই রবীন্দ্র দা আসলে কে আপনি জানেন না কি , রবীন্দ্রনাথ কে স্মরনকারী ভাইটি উত্তর দিলেন তিনি বিখ্যাত একজন ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন । আমি শুনে তো ভাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে সটকে পড়লাম। পড়ে ভাবলাম – আসলেই তো ভাই একজন রবীন্দ্রপ্রেমি হিসেবে যা বলেছে ঠিক বলেছেন, কারন তিনি যেহেতু সিটি কর্পোরেশনে কর্মরত (মনে হয় ইঞ্জিনিয়ারিং সেকশনে) তাই তার ভাবনাটাও সেরকম । অবশ্যই তার কথাটা ঠিক, আমি ভুল।
লেখকঃ স্টাফ রিপোর্টার চ্যানেল ২৪