কে হবেন ব্রিটেনের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী ?

সুরমা নিউজ ২৪ ডট নেট
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:৪৫:৩৯,অপরাহ্ন ০৬ জুলাই ২০২২মাত্র কয়েক মিনিটের ব্যবধানে বরিস জনসনের সরকার থেকে পদত্যাগ করলেন বরিসের দুই গুরুত্বপূর্ন মন্ত্রী। মঙ্গলবার প্রথমে পদত্যাগ করেন অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনক। তার কয়েক মিনিটের মধ্যেই পদত্যাগ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী সাজিদ জাভিদ। এই জোড়া পদত্যাগের ফলে সমস্যায় পড়তে চলেছে বরিসের সরকার।সংবাদ মাধ্যমগুলো বলছে গতকাল ছিলো বরিস জনসনের জন্য দুঃস্বপ্ন। আর এই দুঃস্বপ্ন যদি সত্যি হয় তাহলে প্রধানমন্ত্রীত্বের দায়িত্ব থেকে এবার বিদায় নিতে হতে পারে বরিস জনসনকে।
এদিকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা ঋষি সুনাক পদত্যাগ করায় তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে করোনাকালীন সময়ের সাবেক স্বাস্থ্য সেক্রেটারী নাদিম যাওয়াইকে।
২০১৯ এ ইউগভ নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে করা সার্ভেতে বলা হয়েছিলো ৫৪ শতাংশ টেরি সদস্যই চায় না বরিস জনসন আর ক্ষমতায় থাকুক। এদিকে এ বছর পার্লামেন্ট সদস্যদের অনাস্থা ভোটে জয় লাভ করে বিরস জনসন যখন গা ঝাড়া দিয়ে আবার কাজ শুরু করা কথা বলছিলো তখন এমন ভাবে একে একে গুরুত্বপূর্ন মানুষেদর পদত্যাগের চাপ পরতে পারে বরিস জনসননের উপর। তাই আবারও আলোচনায় বরিস ক্ষমতা থেকে সরলে কে হতে পারে ব্রিটেনের ভবিষৎ প্রধানমন্ত্রী।
এই তালিকায় যাদের নাম রয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে সাবেক ফরেন সেক্রেটারি জেরিমি হান্ট, সাবেক স্বাস্থ্য সেক্রেটারি সাজিদ জাভিদ, পেনি মডার্ন্ট ব্রিটেনের প্রথম নারী প্রতিরক্ষা সেক্রেটারী, সাবেক চ্যান্সেলর ঋষি সুনাক, পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির চেয়ারম্যান টম টুগেনহ্যান্ট, ফরেন সেক্রেটারী লিজ ট্রুস, নতুন চ্যাঞ্ছেলর নাদিম যাওয়াই।
তবে রাজনীতি বিশ্লেষকরা বলছেন সব থেকে বেশি এগিয়ে রয়েছে সাজিদ জাভিদ, ঋষি সুনাক ও জেরিমি হান্ট।
এদিকে বুধবারও দেশটি থেকে দুইজনের পদত্যাগের খবর পাওয়া গিয়েছে। শিশু ও পরিবার বিষয়ক মন্ত্রী উইল কুইন্স এবং জুনিয়র পরিবহন মন্ত্রী লরা ট্রট।
লরা জানিয়েছেন, তিনি সরকারের ওপর ‘আস্থা’ হারানোর জন্য পদত্যাগ করছেন। উইল কুইন্সও বলেছেন, এই মুহূর্তে পদত্যাগ করা ছাড়া তার সামনে আর কোনো পথ খোলা নেই।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বরিস জনসন আগে কখনো এত বড় সংকটের মুখে কখনো পড়েননি। এই সংকট কাটিয়ে তিনি ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারবেন কি না সেটাই এখন বড় প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
জানা গেছে, যৌন অসদাচরণের অভিযোগে অভিযুক্ত এমপি ক্রিস পিঞ্চারকে সরকারে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়ে বরিস জনসন দুঃখপ্রকাশ করার পরপরই পদত্যাগের ঘোষণা দেন দেশটির অর্থমন্ত্রী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এদিন প্রধানমন্ত্রী স্বীকার করেন, সরকারি পদে অযোগ্য একজনকে নিয়োগ দিয়ে তিনি ভুল করেছেন।
পিঞ্চারের বিরুদ্ধে যৌন অসদাচরণের অভিযোগ ওঠার পর গত সপ্তাহে কনজারভেটিভ পার্টি থেকে তার এমপি পদ বাতিল করা হয়।