জিয়াউর রহমানের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ওসমানীনগরে বিএনপির আলোচনা সভা

প্রেস বিজ্ঞপ্তি:
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:৫০:১৫,অপরাহ্ন ২০ জানুয়ারি ২০২৩বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপির) প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৭তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ওসমানীনগর উপজেলা বিএনপির উদ্দ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারী) বিকালে উপজেলার উমরপুরে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল হাকিম এর সভাপতিত্বে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রায়হান আহমদের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাবেক আহবায়ক ও উমরপুর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান চেরাগ আলী, প্রধান বক্তার বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ মিছবাহ।
বিশেষ অতিথি ছিলেন, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ আব্দুল জমির, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ মোফাজ্জল আলী, ত্রান ও পুনর্বাসন সম্পাদক দুলু মিয়া,গনশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক হেলাল আহমদ, ধর্ম সম্পাদক আব্দুল আউয়াল চৌধুরী সাহেদ, সহ-দপ্তর সম্পাদক হুমায়ুন রশীদ চৌধুরী শফি, সহ-শ্রম বিষয়ক ইমরুল চৌধুরী, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু-বকর সিদ্দীকি, আব্দুল মুকিত হেলাল, উপস্তিত ছিলেন বুরুঙ্গা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জিতু মিয়া মেম্বার, পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি জলাল উদ্দীন,গোয়ালা বাজার ইউনিয়ন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মন্নান বক্স,উমরপুর ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি খালিক মিয়া, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক ফজল আহমদ জনি প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও ইতিহাস ভিন্ন হতে পারতো। মহান মুক্তিযুদ্ধ থেকে শুরু করে সমৃদ্ধ জাতি গঠনের প্রতিটি যুগোপযোগি পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে শহীদ জিয়া নিজেই ইতিহাস সৃষ্টি করেছেন। জিয়াউর রহমানের জন্ম না হলে বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের অস্তিত্ব থাকত না। তিনি স্বাধীনতার ঘোষনা থেকে শুরু করে যেভাবে মহান মুক্তিযুদ্ধে জীবনের ঝুকি নিয়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন, একই ভাবে জাতির দুর্যোগময় মুহুর্তে একদলীয় বাকশালী শাসনে বিপর্যস্থ জাতিকে মুক্তি দিতে প্রতিষ্ঠা করেছেন বহুদলীয় গণতন্ত্র। ফিরিয়ে দিয়েছেন সংবাদপত্রের স্বাধীনতা।
জিয়াউর রহমান সততা, গভীর দেশপ্রেম ও নেতৃত্বের দৃঢ়তাসহ নানা গুণাবলির মাধ্যমে সর্বস্থরের মানুষের হৃদয় জয় করেছিলেন। শহীদ জিয়া মানে স্বাধীনতা, জিয়া মানেই বাংলাদেশ। শহীদ জিয়াকে যারা ইতিহাস থেকে মুছে দেয়ার ষড়যন্ত্র করবে সময়ের ব্যবধানে তারাই ইতিহাসের আস্থাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে। শহীদ জিয়া, মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশ একই সূত্রে গাঁথা।
তিনি আরো বলেন, সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। সকল রাজনৈতিক দলকে মানুষের কল্যাণে কাজ করার সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছিলেন। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় আজ দেশের মানুষ সেই সুফল ভোগ করতে পারছে না। দেশে আজ গণতন্ত্র, বাক স্বাধীনতা ও মানুষের ভোটের অধিকার নেই। শহীদ জিয়ার রাজনৈতি কর্মীরা আজ জেগে উঠেছে। ইনশাআল্লাত অতিশীঘ্রই দেশে গণতন্ত্র পুণরুদ্ধার করে দেশে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে। আর দেশে জনগনের সরকার প্রতিষ্ঠা হলে বাংলাদেশ হবে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বপ্নের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ।উপস্তিত ছিলেন বিএনপি নেতা রেজুয়ান চৌধুরী, আব্দাল মিয়া, আনোয়ার আলী, আঙ্গুর মিয়া, আব্দুস সালাম, উপজেলা যুবদলের যুগ্ন-আহবায়ক ছলিক মিয়া মেম্বার,সৈয়দ হুমায়েল,জাকির হোসেন বদরুল,উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের আহবায়ক রকিব আলী, উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটির সদস্য আব্দুল আলীম, আক্কাস মিয়া, কাওছার আহমদ, সিলেট জেলা ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব আহমদ রুমন, যুবদল নেতা সঞ্জিত ব্যানার্জি, সেলিম আহমদ মেম্বার, খালেদ হোসেন, মামুন আহমদ, সুবের আহমদ, মোহাম্মদ আলী, সুহেল মিয়া, সাজ্জাদ আহমদ, ফখরুল ইসলাম হাসান শরীফ, আবুল হোসেন, আখলু খান, সৈয়দ তাহের, উমরপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি ফাহিম আহমদ, সিনিয়র সহ-সভাপতি নাদিম হোসেন দিপু, বুরুঙ্গা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি সাহেদ মাসুদ, পশ্চিম পৈলনপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের যুগ্ন-সাধারাণ ফয়ছল আহমদ, বুরুঙ্গা ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাংগঠনিক ইমন আহমদ প্রমুখ।
সভায় পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন যুবদল নেতা সৈয়দ তাহের।