জেলা বিএনপি নেতার হাতে উপজেলা সভাপতি লাঞ্ছিত, বিশনাথে তোলপাড়

সুরমা নিউজ
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:২৮:১০,অপরাহ্ন ০৯ নভেম্বর ২০১৯সিলেট জেলা বিএনপির সহসভাপতি ও বিশ্বনাথের সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সুহেল আহমদ চৌধুরীর হাতে বিশ্বনাথ বিএনপির সভাপতি ও বিশ্বনাথ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান জালাল উদ্দিনের লাঞ্ছিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বুধবার রাত সাড়ে ১০টায় সিলেটের বিশ্বনাথ থানার বিপরীতে যুক্তরাজ্য প্রবাসী আকদ্দুছ আলীর মার্কেটের দ্বিতীয়তলায় জালাল উদ্দিনকে ডেকে নিয়ে জুতাপেটা করেন সুহেল চৌধুরী। সুহেল চৌধুরী গ্রুপের নেতাদের দাবি, সম্প্রতি বিশ্বনাথ বিএনপির নতুন কমিটি গঠন নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্দ্বের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে।
অন্যদিকে এ ঘটনা নিয়ে বিএনপির সুহেল চৌধুরী গ্রুপ ও জালাল উদ্দিন গ্রুপের নেতাদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোনো সময় দুই গ্রুপের নেতাদের মধ্যে বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা রয়েছে। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকে সুহেল চৌধুরী গ্রুপের নেতারা বিশ্বনাথের পুরান বাজারে আর জালাল উদ্দিন গ্রুপের নেতাদের নতুন বাজারে অবস্থান নিতে দেখা গেছে। এ ঘটনার মোকাবিলা করতে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে এক জরুরি সভা করেছেন জালাল উদ্দিনের পক্ষের নেতারা।
সংশ্নিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ৩১ অক্টোবর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও নিখোঁজ বিএনপি নেতা এম ইলিয়াস আলীর সহধর্মিণী তাহসিনা রুশদীর লুনার উপস্থিতিতে বিশ্বনাথ বিএনপির নতুন কমিটি গঠন নিয়ে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলার আট ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি-সম্পাদকদের নিয়ে অনুষ্ঠিত ওই সভায় অভিযোগ ওঠে স্থানীয় এমপি গণফেরাম নেতা মোকাব্বির খানের সঙ্গে সুহেল চৌধুরীসহ তার বলয়ের নেতাদের সখ্যের বিষয়ে। যে কারণে সুহেল চৌধুরীসহ তার বলয়ের নেতাদের বাদ দিয়ে নতুন কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। আর এতে বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গউছ খানকে আহ্বায়ক করে ২২ সদস্যের একটি খসড়া কমিটি গঠন করে জেলায় পাঠানো হয়।
ঘটনার সত্যতা জানতে জেলা বিএনপির সহসভাপতি সুহেল আহমদ চৌধুরী ও বিশ্বনাথ বিএনপির সভাপতি জালাল উদ্দিনের সঙ্গে মোবাইল ফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলে তাদের দু’জনের কেউ মোবাইলের ফোনকল রিসিভ করেননি। তবে, জালাল উদ্দিন গ্রুপের নেতা বিশ্বনাথ বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বশির আহমদ বলেন, লাঞ্ছিত হওয়ার বিষয়টি তিনি জেনেছেন। আর এ ঘটনার প্রতিবাদে তারা বৈঠকও করছেন। বিশ্বনাথ বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান গউছ খান কমিটি গঠন ও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, যারা গণফোরামের এমপি মোকাব্বির খানকে নিয়ে সভা-সমাবেশ করে, তারা বিএনপির হতে পারে না। তাই সুহেল চৌধুরীসহ তার গ্রুপের নেতাদের বাদ দিয়ে সম্প্রতি তাকে (গউছ খানকে) আহ্বায়ক করে ২২ সদস্যের একটি কমিটি জেলায় পাঠানো হয়েছে।
তথ্যসুত্র সমকাল