পাহাড়ি ঢলে সাতছড়ি ত্রিপুরা পল্লীর ব্রীজ ধসে পড়েছে

মাধবপুর প্রতিনিধি:
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:১৫:৪৯,অপরাহ্ন ০২ আগস্ট ২০২২
হবিগঞ্জের’ সাতছড়ী জাতীয় উদ্যান’ পর্যটকদের জন্য এক আকর্ষণীয় স্থান। প্রতিদিন বিপুল পরিমাণ পর্যটক শহরের কোলাহল ও কর্মব্যস্ততার ক্লান্তি মুছে ফেলতে এখানে আসেন প্রকৃতির সান্নিধ্যে। পাহাড় বন পাহাড়ি ছড়া পশু পাখি দেখার পাশাপাশি পর্যটকরা দেখতে যান জাতীয় উদ্যানের ভেতরে বসবাসকারী পাহাড়ি আদিবাসীদের একমাত্র পল্লী ত্রিপুরা পাড়া গ্রামটি।
সাতটি পাহাড়ি ছড়া নিয়ে গঠিত সাতছড়ী জাতীয় উদ্যানের ত্রিপুরা পল্লীতে যেতে হলে একটি পাহাড়ি ছড়ার উপর নির্মিত ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। কিছুদিন আগে পাহাড়ি ঢলে যোগাযোগের মাধ্যম এই ব্রিজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় পর্যটকদের অন্যতম আকর্ষণ ত্রিপুরা পল্লী দেখতে যেতে পারছেন না। পাশাপাশি স্থানীয় আদিবাসী লোকজন তাদের প্রয়োজনে বাইরে যেতে চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। ঢাকা থেকে এখানে ঘুরতে আসা পর্যটক শরিফ হোসেন জানান, ত্রিপুরা পল্লীর আদিবাসী লোকজন কিভাবে বসবাস করে তা দেখার ইচ্ছে ছিল কিন্তু ব্রীজটি ভেঙ্গে যাওয়ায় যেতে পারিনি।
তাছাড়া এখানে পর্যটকদের থাকার পর্যন্ত ব্যাবস্থা থাকলে অনেকেই এখানে বেড়াতে আসবে। আদিবাসী পল্লীতে যোগাযোগের জন্য যদি একটি ঝুলন্ত সেতু তৈরি করা হয় তাহলে যোগাযোগের পাশাপাশি পর্যটকদের আকর্ষণে পরিণত হবে। স্থানীয় আদিবাসী যুবক আশিস দেববর্মা জানান, পাহাড়ি ঢলে পাহাড় ধসে আমাদের পল্লীর বেশ কয়েকটি পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছে এবং যোগাযোগের একমাত্র সেতুটি ভেঙ্গে গেছে। ফলে আমাদের বাইরে যাতায়াত কঠিন হয়ে গেছে। বিশেষ করে একটু বৃষ্টি হলেই পাহাড়ি ঢলের কারণে যোগাযোগ পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এখানে আমাদের বাড়িঘর রক্ষায় একটি গাইড ওয়াল ও যোগাযোগর জন্য একটি ঝুলন্ত সেতু তৈরি করলে আমাদের যোগাযোগের সুবিধার পাশাপাশি পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হবে। এবিষয়ে আমরা ত্রিপুরা পল্লীবাসী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এবং বেসামরিক বিমান ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মহোদয়ের সুদৃষ্টি কামনা করছি।