ব্রিটেনে আবারও আসতে পারে করোনা বিধিনিষেধ

লন্ডন অফিস
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:১২:০৪,অপরাহ্ন ১২ জুলাই ২০২২ব্রিটেনের ন্যাশনাল হেলথ সার্ভিস (এনএইচএস) যদি ক্রমবর্ধমান করোনা আক্রান্তের হারের সাথে তাল মিলিয়ে চলতে না পারে তবে ব্রিটিশরা করোনা পরবর্তী সময়ে আবারও কোভিড সম্পর্কিত বিধিনিষেধের মুখোমুখি হতে পারে।
মেট্রো নিউজের খবরে বলা হয়েছে, বর্তমানে যুক্তরাজ্যে করোনভাইরাস সংক্রমণ তিন মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল পর্যন্ত হাসপাতালে ১৩,৩৩৬ জন করোনা রোগী ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছে। শেষবার এই সংখ্যাটি গত বছরের এপ্রিলের বসন্তে ১৬,৬০০ জন পৌঁছেছিল। বর্তমানে কোভিড আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে প্রায় ১০ জনের মধ্যে ছয় জন মানুষ করোনা ছাড়াও অন্যান্য রোগেরও চিকিৎসা নিচ্ছে। তবুও এসব রোগীকে অন্যদের চেয়ে আলাদা থাকতে হচ্ছে যা হাসপাতালের কর্মীদের এবং অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনার ওপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করছে।
জুনিয়র স্বাস্থ্যমন্ত্রী লর্ড সৈয়দ সতর্ক করে জানিয়েছেন, যদি হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর কারণে এনএইচএস কে বেকায়দায় পরতে হয় তাহলে স্পষ্টভাবে করোনা বিধিনিষেধ সংক্রান্ত ব্যবস্থা চালু করতে হবে। তিনি গতকাল হাউস অফ লর্ডসকে বলেন, ‘যদি করোনা আক্রান্তের হার এত বেড়ে যায় যে আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা চাপের মধ্যে পরে, তবে আমরা সংক্রমণ এবং হাসপাতালে ভর্তির মধ্যে সংযোগটি ভেঙে ফেলার জন্য আমরা সর্বদা যেকোনো ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত রয়েছি। যদি এটি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় তবে
অবশ্যই আমরা পূর্বে যে ব্যবস্থা নিয়েছি তা আবার ফিরিয়ে আনবো। তিনি পরামর্শ দেন যে, ল্যাটেরাল ফ্লো টেস্ট স্কিমটি প্রত্যাবর্তন করা হতে পারে সেইসাথে বাধ্যতামূলক ফেস মাস্ক। যা ব্রিটিশ সরকার গত এপ্রিলে বাতিল করেছিল।
তবে করোনা আক্রান্তের হার এখন কিছুটা কমে গেছে। মাসের শুরুতে যেখানে আক্রান্তের হার ৩৯ পারসেন্ট ছিল এখন তা ২৫ শতাংশে নেমে এসেছে। এদিকে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ৭৫ বছর বা তার বেশি বয়সী মানুষদের মধ্যে এও গ্রীষ্মে করোনা আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। আর তাই এই বয়সী মানুষকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তারা। এছাড়া ৭৫ বছর বয়সী ৬ জনের মধ্যে একজন গত ছয় মাসে বুস্টার ডোজের টিকা পাননি। তারা সবচেয়ে ঝুঁকিতে রয়েছেন।