মৌলভীবাজারের আ’লীগ : বিভিন্ন উপজেলার সম্মেলনকে সামনে রেখে অনুপ্রবেশকারীদের নিয়ে সমালোচনার ঝড়

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি :
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:২৯:৪৬,অপরাহ্ন ০৮ নভেম্বর ২০১৯
দীর্ঘ পনের বছর পরে আগামী ১০ নভেম্বর হতে যাচ্ছে কুরাউড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন। ক্ষমতাসীন দলের সম্মেলনকে সামনে রেখে দলের পদপদবী লাভের জন্য এক নেতা অন্য নেতার অনুসারীদের কে কোন দলের সাথে সম্পৃক্ত তা খোঁজে বের করে কেন্দ্র ও জেলা নেতৃবৃন্দের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন। আর এনিয়ে বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও অন লাইনপোর্টালে সংবাদ প্রচার করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তা প্রচার করছেন। সারা দেশেই আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশকারী ও পিজিপি লোকজন রয়েছেন এধরণের অভিযোগ রয়েছে। ফলে ক্ষমতাশীন দলের কেন্দ্র থেকে তৃণমূলে শুরু হয়েছে শুদ্ধি অভিযান। দলীয় হাই কমান্ডের নির্দেশে দেশজুরে শুরু হয় অনুপ্রবেশকারীদের সার্বিক তথ্য সংগ্রহ অভিযান। পরবর্তীতে নানান ভাবে সেই তথ্য গুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। আওয়ামীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিজের তত্ত¡াবধানে বিশ্বস্থ নেতাদের নিয়ে শুদ্ধি অভিযান পরিচালনা করছেন। গত বৃহস্পতিবার(৭ নভেম্বর) প্রকাশিত তালিকায় কিছু অনুপ্রবেশকারীদের নাম প্রকাশিত হলে তৃণমূলে শুরু হয় আলোচনা সমালোচনার ঝড়।
জেলাসদরসহ সাতটি জেলায়ই বিগত একদশকে পিজিপি মার্কা কিছু নেতা ক্ষমতার হালুয়া রুটির ভাগ নিতে ক্ষমতাশীন দলের নেতাদের সাথে গোপন আতাতের মাধ্যমে দলে ভীড়েছেন। এখন তারাই দলের কাঁটা হয়ে দাড়িয়েছেন। দলের উপজেলা ও জেলা সম্মেলনকে সামনে রেখে একজন অন্য জনের অনুসারিদের অতীত দলীয় পরিচয় ও নানা কর্মকান্ডের তথ্য ফাঁস করার কাজে ওঠেপড়ে লেগেছেন। আসন্ন সম্মেলনে দলে অনুপ্রবেশকারীরাই কাউন্সিলর হওয়ায় এ নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। আর দলের নিস্বার্থ,ত্যাগী তৃণম‚লের নেতাকর্মীদের মধ্যে এসব চিহ্নিত দূর্নীতিবাজ ও ক্ষমতার অপব্যবহারকারী হাইব্রিড নেতাদের নিয়ে চরম ক্ষোভ রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মিছবাউর রহমান বৃহস্পতিবার এ প্রতিনিধিকে বলেন, দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার মাধ্যমে তথ্য যাচাই বাছাই করে চলমান শুদ্ধি অভিযানের অংশ হিসেবে সিলেট বিভাগে অনুপ্রবেশকারীদের তালিকা তৈরি করেছেন। তাদেরমধ্যে মৌলভীবাজার জেলায় ইতিমধ্যে ৭জনের নাম জানা গেছে। এদের মধ্যে কুলাউড়ার ভাটেরা ও হাজিপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের দু’জন অনুপ্রবেশকারীর নাম রয়েছে। এছাড়া আরো কয়েকজনের নাম আছে। এগুলো যাচাই বাছাই করে দেখা হচ্ছে। পরবর্তীতে দলের নির্দেশনা মতো তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ নেছার আহমদ এমপি বলেন, দলীয়ভাবে আমাদের দলে অনুপ্রবেশকারীদের সার্বিক তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে এবং তা চলমান রয়েছে। আমরা দলীয়ভাবে তা খতিয়ে দেখে পরবর্তীতে সাংগঠনিক ব্যবস্থ নেবো।
এ বিষয়ে আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) আহমদ হোসেন শুক্রবার এ প্রতিনিধিকে বলেন, কারা দলে অনুপ্রবেশকারী দলীয় হাই কমান্ডের নির্দেশে আমরা তা যাচাই করে দেখছি। অনুপ্রবেশকারীরা স্বাভাবিকভাবেই দলের জন্য ক্ষতি ডেকে আনে। তারা ব্যক্তিস্বার্থে ও সমষ্টিগত স্বার্থে নানা অপকর্ম করে দল ও সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করে আসছে। দীর্ঘদিন ধরে যারা অপকর্মের সাথে জড়িত তদের কাউকেই দলে রাখা হবেনা। তিনি যত ক্ষমতাবান হন না কেন, দলীয় পদ পদবী তাদের জন্য নয়। দলে ক্লিন ইমেজের নিবেদিত প্রাণ কর্মীরাই নেতৃত্বের হাল ধরবেন।