মৌলভীবাজারে প্রশিক্ষকের যৌন হয়রানি শিকার এক নারী খেলোয়াড়

স্বপন দেব, মৌলভীবাজার:
প্রকাশিত হয়েছে : ৫:০৮:৪৪,অপরাহ্ন ০৩ নভেম্বর ২০১৯
মৌলভীবাজার অ্যাথলেটিক একাডেমির এক নারী খেলোয়াড়কে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে কোচের বিরুদ্ধে। যৌন হয়রানির শিকার মেয়েটি কর্তৃপক্ষের কাছে বিচার চাইতে গিয়েও নানা হয়রানী ও হুমকির সম্মুখীন হচ্ছেন।
নারী খেলোয়াড়ের অভিযোগ, একাডেমি কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়ার জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করছে। হয়রানির শিকার মেয়েটি জানান, গত ২১ অক্টোবর সকালে প্রতিদিনের মতো মৌলভীবাজার স্টেডিয়ামে প্র্যাকটিস করতে যান তিনি। তখন হঠাৎ হাঁটুতে আঘাত পেলে সে গ্যালারিতে বসে প্রাথমিক ব্যায়াম করতে থাকে। পরে প্রশিক্ষক ফয়জুল হক মনা মেয়েটিকে স্টেডিয়ামের উপরের তলার রুমে যেতে বলেন। প্রশিক্ষকের কথা অনুযায়ী মেয়েটি দোতলার রুমে যান। এ সময় দোতলায় অন্য কোনো খেলোয়াড় ছিলেন না।
ভুক্তভোগীর অভিযোগ, প্রশিক্ষক এ সময় তাকে যৌন হয়রানি করেন। বাঁধা দিলে প্রশিক্ষক তা কর্ণপাত করেননি। একপর্যায়ে মেয়েটি রুম থেকে বের হয়ে মাঠে চলে আসেন। বিষয়টি একাডেমিতে জানাজানি হলে গত ২৭ অক্টোবর স্টেডিয়ামের ইনডোরে ছেলেদের প্রশিক্ষক দেলোওয়ার, পরিচালক চমন মজুমদার, সুহেব ও শিপনসহ ৭-৮ জন ছেলে খোলোয়াড়কে নিয়ে বিষয়টি সমাধানের জন্য গোপন বৈঠকে বসে তারা। এসময় অভিযুক্ত প্রশিক্ষক তার ভুলের জন্য ক্ষমা চান এবং একাডেমি থেকে বের হয়ে যাওয়ার কথা বলেন। তবে মেয়েটির দাবি ছিল, ওই অভিযুক্ত প্রশিক্ষককে লিখিতভাবে একাডেমি থেকে বাহিষ্কারের। কিন্তু এখনও তা করা হয়নি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত প্রশিক্ষক ফয়জুল হক মনা অভিযোগের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমার সম্মান ক্ষুন্ন ও হয়রানি করার জন্য এধরণের অভিযোগ তোলা হয়েছে।
এ বিষয়ে একাডেমির পরিচালক চমন মজুমদার বলেন, মেয়েটির মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে তার দাবি মতো গত ২৭ অক্টোবর স্টেডিয়ামের ইনডোরে বসে বিষয়টি সমাধান করে দেয়া হয়েছে।