লেবাননে বৈরুতে ভয়াবহ দাবানল, উদ্বেগ

হেলাল আহমদ, লেবানন থেকে
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:৫৬:৩৯,অপরাহ্ন ১৬ অক্টোবর ২০১৯রাজধানী বৈরুত থেকে দেখা যাচ্ছে দাবানলের লেলিহানশিখা, ভয়াবহ ও উদ্বেগজনক হয়ে,উঠেছে লেবাননের বনের আগুন ‘দাবানল’। সোমবার ভোর থেকে শুরু হওয়া আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। পুড়ে ছাই হচ্ছে একের পর এক বন। কয়েক দশকের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ এইু আগুনচ্ছটার শুরু লেবাননের পশ্চিম পর্বতমালায়, তাপদাহ এবং প্রবল বাতাসে ।
লেবাননের আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা যায়, সৌফ এলাকায় প্রথম আগুনের সূত্রপাত হয়। এরপর আক্কার, শৌর, আরামুন সহ প্রায় ১০৫ টি এলাকায় দাবানল ভয়াবহ আকার ধারনা করেছে।বাতাসের গতিবেগ ঘন্টায় ৫০ কিলোমিটার হওয়ায় আগুন বনাঞ্চল গুলোতে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে। এরই মধ্যে প্রাণহানি ছাড়াও ঘর-বাড়ি-যানবাহনসহ বিপুল পরিমাণ সম্পদহানি হয়েছে। বিবিসির খবরে বলা হয়, বৈরুত এবং সিডন শহর জুড়ে প্রচন্ড ধোঁয়া দেখা গেছে এবং এক স্বেচ্ছাসেবক দমকলকর্মী মারা গেছেন বলে জানা গেছে। সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, লাতাকিয়ায় উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে দু’জন বনজ শ্রমিক মারা গেছে। সান বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, আগুনের শিখায় আরও আটজন আহত হয়েছে। লেবাননের অগ্নিনির্বাপণ বাহিনীকে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে। মঙ্গলবার ভোরে জল কামানে সজ্জিত দাঙ্গা পুলিশকে মাউন্ট লেবানন অঞ্চলে ডেকে আনা হয়েছিল। ইতিমধ্যে সাইপ্রাসের দুইটি প্লেন দাবানলের লড়াইয়ে সহায়তা করছে।আগুনে পুড়ে গেছে শত শত যানবাহন দাবানল থামানোর লড়াইয়ে আন্তর্জাতিক সাহায্য চেয়েছে লেবানন।
লেবাননের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রায়া এল হাসান বলেছেন, সরকার সাহায্যের জন্যঅনেক গুলো দেশের সাথে যোগাযোগ করেছে এবং একটি সাইপ্রিয়ট বিমানের মাধ্যমে পানি ফেলার ছবি টুইট করেছে। স্বেচ্ছাসেবক দমকলকর্মী বৈরুতের দক্ষিণ-পূর্বে সৌফ অঞ্চলে মারা গিয়েছিলেন বলে জানা গেছে। এই অঞ্চলে রয়েছে আল সৌফ সিডার ন্যাচারাল রিজার্ভ, যেখানে লেবাননের সিডার (দারূবৃক্ষবিশেষ) বৃক্ষের একটি বিশাল বন রয়েছে-যে বৃক্ষ দেশের জাতীয় পতাকায় স্থান পেয়েছে। লেবাননের সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ আগুনের বিরুদ্ধে লড়াই সম্পর্কে আপডেটগুলি নিয়মিত টুইট করছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে এক হাজারেরও বেশি অগ্নিনির্বাপণ কর্মী নিরলস কাজ করে যাচ্ছেন। আগুন নিয়ন্ত্রণ ও ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা থেকে মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে আনতে সর্বাত্মকভাবে কাজ করে যাচ্ছে দেশটির বিভিন্ন বাহিনী। সেনাবাহিনী এবং বিমান বাহিনীর ইউনিট সারা দেশে সহায়তা করছে।আগুন কীভাবে শুরু হয়েছিল তা স্পষ্ট নয় । তবে প্রধানমন্ত্রী সাদ হারিরি এমনটিই বলেছিলেন বলে জানা গেছে যে, এটি উদ্দেশ্যমূলকভাবে লাগানো হয় যদি তবে দায়বদ্ধরা “এর মূল্য দিতে হবে”।দাবানল এলাকায় বেশ কিছু বাংলাদেশিরা বসবাস করছেন। এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্যে তাদের কোনো ক্ষয়ক্ষতির খবরপাওয়া যায়নি।