শাল্লায় কারা আসছেন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে?

শাল্লা প্রতিনিধি:
প্রকাশিত হয়েছে : ২:৪৪:৪৫,অপরাহ্ন ৩০ অক্টোবর ২০১৯
২০১৪ ইং সনের ২রা ডিসেম্বর হয়েছিল সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা উপজেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ কাউন্সিল। এর পর কেটে গেছে ৫ বছর। দীর্ঘদিন পর অবশেষে আগামী ৪ নভেম্বর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের তারিখ ঘোষিত হয়েছে। এ নিয়ে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের মাঝে উৎসাহ ও উদ্দীপনার শেষ নেই।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল পর্যায়ের একাধিক নেতাকর্মীর সঙ্গে কথা বললে জানা যায়, তৃণমূল নেতাদের মূল্যায়নের ভিত্তিতে ভোটের মাধ্যমে উপজেলা আওয়ামী লীগের নতুন কমিটি গঠিত হলে সঠিক নেতৃত্ব বাছাই হবে। তবে তাদের আশংকা আগামী ৪ নভেম্বর কাউন্সিল হবে কি না ? কারণ কাউন্সিলের মাত্র আর ৫ দিন বাকী। অথচ এখনো কাউন্সিল প্রস্তুতি কমিটি গঠিত হয়নি এবং ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কমিটিও পুর্নগঠিত হয়নি। উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জানান সম্মেলনকে ঘিরে নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক নেতার নাম উচ্চারিত হচ্ছে। তবে সভাপতি পদে সবচেয়ে বেশি উচ্চারিত হচ্ছে উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ (আল-আমিন), জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এড. অবনী মোহন দাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অলিউল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আব্দুস সাত্তার এর নাম।
অন্যদিকে সাধারণ সম্পাদক পদে আলোচনায় রয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কোষাধ্যক্ষ বিধু ভূষন রায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুবল দাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল লেইছ চৌধুরী, উপজেলা কৃষকলীগ সভাপতি কাজল বরণ চৌধুরী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি বিশ্বজিত চৌধুরী নান্টু, উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক এড. দীপু রঞ্জন দাশ। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তৃণমূলের একাধিক নেতা জানান, তৃণমূল নেতাদের মতামত গ্রহণ করা হলেও স্থানীয় সাংসদ ড. জয়া সেনগুপ্তা ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মতিউর রহমান এর ওপরই নির্ভর করছে নতুন নেতৃত্বে কারা আসছেন।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এড. দীপু রঞ্জন দাশ বলেন, আমি আওয়ামী পরিবারের সন্তান। আজন্ম আওয়ামী লীগে বিশ্বাসী। ছাত্রলীগ, যুবলীগ হয়ে বর্তমানে আওয়ামী লীগের নিবেদিত কর্মী হিসেবে সবসময় চেষ্টা করি দলের নেতাকর্মীদের পাশে থাকার। যেহেতু দল ত্যাগী নেতা-কর্মীদের খুঁজছে, সেই সুবাদে দল আমাকে মূল্যায়িত করবে বলে আমি আশাবাদী এবং সাধারণ সম্পাদক করে বৃহৎ পরিসরে কাজ করার সুযোগ করে দিবে।
উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি বিশ্বজিত চৌধুরী নান্টু বলেন, আমার বাবা আমৃত্যু আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন। দলের দুর্দিনে উপজেলা আওয়ামী লীগের হাল ধরেছেন। আমিও জাতির পিতা শেখ মুজিবের আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে দলের নিবেদিত কর্মী হিসেবে সবসময় দলকে সংগঠিত করতে কাজ করে আসছি। যদি তৃণমূল নেতা-কর্মীদের ভোটের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক উপায়ে নেতৃত্ব বাছাই করা হয় তাহলে তৃণমূল নেতা-কর্মীরা আমাকে অবশ্যই সাধারণ সম্পাদক হিসেবে মূল্যায়ন করবেন বলে আমি শতভাগ আশাবাদী।
উপজেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষ বিধু ভূষণ রায় বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদে যত জনের নাম উচ্চারিত হচ্ছে সবাই আমার ছাত্র অথবা ছাত্র সমতুল্য। তাই তাদের সাথে আমি ভোটাভোটিতে যাব না। তবে সবাই যদি সর্বসম্মতিক্রমে উক্ত পদে আমাকে যোগ্য মনে করে তবেই আমি আছি।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ: সভাপতি আব্দুস সাত্তার মিয়া বলেন, সত্তর-এ আজমিরীগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি, ৭৪-এ শাল্লা থানা আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ এবং ৯৬ পরবর্তী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। তাই এই শেষ বয়সে সভাপতি হিসেবে দল আমাকে নির্বাচিত করবে বলে আশাবাদী।
উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আল আমিন চৌধুরী বলেন, দলের স্থানীয় পর্যায়ের নেতা-কর্মী ও সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কর্ণধার মতিউর রহমান ও স্থানীয় সাংসদ ড. জয়া সেনগুপ্তা আমাকে যে পদে রাখবেন সেই পদে থেকেই দলের জন্য কাজ করে যাব। দল ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তের বাইরে যাব না।