শ্রীমঙ্গলে স্ত্রীর পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত কিংবদন্তি সুরকার আলম খান

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:৩১:১৬,অপরাহ্ন ০৯ জুলাই ২০২২
অসংখ্য কালজয়ী গানের বরেণ্য সুরকার আলম খান মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার মহাজেরাবাদ এলাকার পাহাড় চূড়ায় নির্মিত মসজিদুল আউলিয়া হজরত খাজা শাহ মোজাম্মেল হক (র.)এর প্রাঙ্গণে জান্নাতুল ফেরদৌস কমপ্লেক্সের স্ত্রীর কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন।
(৯ জুলাই) শনিবার সকাল ৯টার সময় উপজেলার মহাজেরাবাদের জান্নাতুল ফেরদৌস কমপ্লেক্সের “মসজিদুল আউলিয়া হযরত খাজা শাহ মোজাম্মেল হক (র.) মসজিদে জানাজা শেষে” জান্নাতুল ফেরদৌস পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন গ্রান্ড সুলতান টি রিসোর্ট অ্যান্ড গলফ ও মসজিদুল আউলিয়া প্রতিষ্ঠানের দুটির নির্মাতা ও মালিক খাজা মোজাম্মেল হক (রহ.) ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান খাজা টিপু সুলতান ও ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ কামরুজ্জামানসহ অনেকে। সেখানে চিরনিন্দ্রায় শায়িত আছেন এই সুরসৃষ্টা ও সংগীত পরিচালক আলম খানের স্ত্রী হাবিবুননেসা গুলবানু।
আলম খানের ছেলে আরমান খান। তিনি শ্রীমঙ্গলস্থ গ্রান্ড সুলতান টি রিসোর্ট এন্ড গলফ এর মহা ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত। তিনি বলেন, ‘আম্মাকে ওখানে কবর দেওয়ার পর থেকেই আব্বা বলেছিলেন, ‘তিনি মারা যাওয়ার পর যেন সেখানেই কবর দেওয়া হয়। আমরাও আব্বার ইচ্ছা অনুযায়ী মায়ের পাশেই কবর দিয়েছি।’
প্রসঙ্গত, কয়েক বছর ধরেই অসুস্থ ছিলেন আলম খান। শুক্রবার সকালে সাড়ে ১১টায় তিনি ইন্তেকাল করেন। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইলাইহি রাজিউন)। শ্রীমঙ্গলে নেওয়ার আগে বাংলা গানের কিংবদন্তি সুরকার ও সংগীত পরিচালক আলম খানের দুই দফায় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আলম খান ১৯৪৪ সালে সিরাজগঞ্জের বানিয়াগাতি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা আফতাব উদ্দিন খান ছিলেন সেক্রেটারিয়েট হোম ডিপার্টমেন্টের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার ও মা জোবেদা খানম ছিলেন গৃহিণী। আলম খান ১৯৬৩ সালে রবিন ঘোষের সহকারী হিসেবে ‘তালাশ’ চলচ্চিত্রে সংগীত পরিচালনা করেন।