সিলেটসহ সারাদেশে আরও কয়েকদিন থাকবে ঝড়-বৃষ্টি

সুরমা নিউজ ২৪ ডট নেট
প্রকাশিত হয়েছে : ৬:৩২:০৫,অপরাহ্ন ১৩ মে ২০২২বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় ‘আসানি’ ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ উপকূল অতিক্রম করে বিদায় নিয়েছে। কিন্তু এর প্রভাবে সৃষ্ট আবহাওয়ার প্রভাব কিছুটা রয়ে গেছে। যার ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃহস্পতিবার মাঝারি থেকে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। এ বৃষ্টি আরও দুইদিন থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় ‘আসানি’র বিদায়ে নদী ও সমুদ্র বন্দর থেকে উঠিয়ে নেওয়া হয়েছে সব ধরনের সতর্কবার্তা।
আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ জানান, রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। একই সঙ্গে বিজলি চমকানোসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়াও দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণ হতে পারে।
বৃহস্পতিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহীতে, ৩৫ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আগামী তিনদিনে সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
বৃহস্পতিবার (১২ মে) সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার (১৩ মে) সকাল ৬টা পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে সৈয়দপুরে, ৯৮ মিলিমিটার।
এদিকে আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে সিলেট ও সুনামগঞ্জের সীমান্তবর্তী নদনদীগুলোর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত পারে বলে জানিয়েছে সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ড।
এছাড়া এই সময়ের মধ্যে দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং তৎসংলগ্ন ভারতের ত্রিপুরাতে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তাই সিলেট ও সুনামগঞ্জের বেশ কয়েকটি নদীসহ সীমান্তবর্তী নদনদীগুলোর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত পারে বলে জানিয়েছেন সিলেট পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী এ. কে. এম. নিলয় পাশা।
এদিকে উজান থেকে নেমে আসা ঢল ও চলমান বৃষ্টিপাতে সিলেটের প্রায় সবগুলো নদনদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে। সুরমা নদীর পানি কানাইঘাট উপজেলা দিয়ে ইতোমধ্যে বিপদসীমা অতিক্রম করছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী শুক্রবার ভোর ৬টায় থেকে ওই অঞ্চলে সুরমা নদীর পানি বিপদসীমার ০.৫৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট কার্যালয়ের তথ্য মতে, সুরমা নদীর কানাইঘাট এলাকার ডেঞ্জার লেভেল ১২.৭৫ সেন্টিমিটার। সেখানে শুক্রবার সকাল ৬টায় ছিল ১৩.৩৪ সেন্টিমিটার। সিলেটে সুরমার ডেঞ্জার লেভেল ১০.৮০ সেন্টিমিটার। সকাল ৬টায় এই নদীর পানি ছিল ৯.৫২ সেন্টিমিটার। কুশিয়ারা নদী শেওলা এলাকার ডেঞ্জার লেভেল ১৩.০৫ সেন্টিমিটার। সকাল ৬টায় এই নদীর পানি ছিল ১০.৮৬ সেন্টিমিটার। সারি নদী গোয়াইঘাট এলাকার ডেঞ্জার লেভেল ১২.৩৫ সেন্টিমিটার। সকাল ৬টায় এই নদীর পানি ছিল ১১.৯৫ সেন্টিমিটার। সুনামগঞ্জ সুরমার ডেঞ্জার লেভেল ৭.৮০ সেন্টিমিটার। সকাল ৬টায় এই নদীর পানি ছিল ৬.৩২ সেন্টিমিটার।
এদিকে, সিলেট আবহাওয়া অফিসের তথ্য মতে, সিলেটে গত বুধবার সকাল ৬টা থেকে গত বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ৭৮.৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বুধবার সকাল ৬টা থেকে বিকাল ৬টা পর্যন্ত ৩.৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসেরজ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাঈদ আহমদ চৌধুরী বলেন, আগামী ১৮ তারিখ পর্যন্ত সিলেটে বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। দিনের চেয়ে রাতে বেশি বৃষ্টিপাত হবে।