সিলেটে পশুর হাটের বর্জ্যে, দুর্গন্ধে ভোগান্তিতে এলাকাবাসী

সুরমা নিউজ ২৪ ডট নেট
প্রকাশিত হয়েছে : ৮:৫৯:১৪,অপরাহ্ন ১৩ জুলাই ২০২২অবৈধ পশুর হাট বসিয়ে টাকা কামিয়েছেন। ঈদ শেষ ময়লার স্তুপ পড়ে আছে সড়কের পাশে। এমন অবস্থা নগরের বিভিন্ন বৈধ, অবৈধ পশুর হাটের। কোরবানির হাটের সেসব বর্জ্য পচে সৃষ্ট দুর্গন্ধে নাগরিকদের ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে। কোরবানির পর ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বর্জ্য অপসারণের দাবি থাকলেও ১২ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করা হয়। ঈদুল আযহার তিন দিন পার হলেও সিলেট নগরের কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ হয়নি। সিটির বর্ধিত একটি এলাকায় রাস্তার পাশে বসা হাটবাজারের বর্জ্য পড়ে রয়েছে। এতে ভোগান্তি পড়েছেন এলাকাবাসী।
স্থানীয়রা জানান, ঈদের তিন দিন অতিক্রম হতে চললেও সিলেট সিটি করপোরেশনের বর্ধিত এলাকা (৩৮ নং ওয়ার্ড) তেমুখি-বাদাঘাট সড়কে সফাত উল্লাহ ফিলিং স্টেশনের পাশে কুরবানির পশুর বর্জ্য পড়ে থাকতে দেখা যায়। এসব বর্জ্য সিসিক কর্তৃপক্ষ কিংবা বাজার ইজাদাররা সরানোর ব্যবস্থা করেনি। ফলে স্থানীয় বাসিন্দা ও পথচারীরা চরম ভোগান্তি পড়েছেন।
স্থানীয়দের অভিযোগ, মূল পশুর হাট ছিলো সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কের খালিগাঁও নামক স্থানে। সফাত উল্লাহ ফিলিং স্টেশনের স্বত্বাধিকারী মো. হেলাল আহমদ ঈদ উপলক্ষে এই অস্থায়ী পশুর হাট ইজারা নিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু পশুর হাট প্রায় দুই কিলোমিটারজুড়ে বসানো হয়। প্রত্যেক পশুর মালিকের কাছ থেকে টাকা নেন ইজাদাররা। কিন্তু হাট বসানোর ফলে স্তুপ হওয়া বর্জ্য অপসারণের উদ্যোগ নেননি সিসিক কর্তৃপক্ষ কিংবা ইজাদাররা।
এ বিষয়ে সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নুর আজিজুর রহমান বলেন, বিষয়টি জানা ছিল না। এ বর্জ্যগুলো দ্রুত অপসারণের ব্যবস্থা করা হবে।
সিসিকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আব্দুল আলিম শাহ বলেন, ঈদের সকাল থেকেই পশুর হাটগুলোর বর্জ্য এবং দুপুরে নগরীর প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন বাসা-বাড়ির জবাইকৃত স্থান থেকে বর্জ্য সংগ্রহ করে ট্রলি, রিকশা, ভ্যান ও ময়লা বহনকারী ট্রাকে করে নির্দিষ্ট ডাস্টবিন ও নির্ধারিত স্থানে ডাম্পিং করা হয়। পরে সন্ধ্যার মধ্যে দক্ষিণ সুরমা এলাকার সিসিকের ডাম্পিং পয়েন্টে নিয়ে যাওয়া হয়।
তিনি বলেন, নগরের প্রধান সড়কসহ গুরুত্বপূর্ণ যেসব স্থানে কোরবানি করা হয়েছিল, সেই সব স্থান পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নকরণ ও ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়ে দূষণমূক্ত করা হয়। সিসিকের স্থায়ী-অস্থায়ী ১৪শ পরিচ্ছন্নতা কর্মী বর্জ্য অপসারণে দিনভর কাজ করেন।
এবার সিলেট সিটি করপোরেশন এলাকায় ৬টি পশুর হাটের ইজারা দেওয়া হয়। কিন্তু এর বাইরেও বিভিন্ন দলের রাজনৈতিক নেতারা নেপথ্যে থেকে একাধিক অবৈধ পশুর হাট বসান। সেসব হাটে কোরবানির পশু বিক্রি করে টাকা উপার্জন করলেও পশুর বিষ্ট ময়লা, আবর্জনার ভোগান্তি নগরবাসীর জন্য রেখে যান।