হত্যার পর লাশ পুঁতে রাখা হয়েছিল : কুলাউড়ায় ইসমত হত্যায় আসামীদের স্বীকারোক্তি

স্বপন দেব, মৌলভীবাজার:
প্রকাশিত হয়েছে : ৯:৪৫:৩৯,অপরাহ্ন ১৭ অক্টোবর ২০১৯
কুলাউড়ার ইসমতকে লাঠিপেটা ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি আঘাতের পর তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর তার লাশ গায়েব করার জন্য পুঁটিছড়া ও লম্বাছড়া পুঞ্জির মাঝে পাহাড়ি ছড়ার পাশে মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছিল। বুধবার মৌলভীবাজার আমলী আদালতে ১৬৪ ধারায় দেয়া জবানবন্দিতে আটক ৫ আসামি এ কথা জানায়।
গত ১৫ অক্টোবর রাতে ৪ দিন নিখোঁজ থাকার পর পুলিশ উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের সাবেক ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও ঘড়গাঁও গ্রামের মৃত ইছহাক আলীর ছেলে ইসমত আলীর লাশ উদ্ধার করে কর্মধার পুঁটিছড়া থেকে। সেই রাতে ইসমত হত্যার সঙ্গে জড়িত গারো ও খাসিয়া সম্প্রদায়ের ৫ জনকে আটক করে কুলাউড়া থানা পুলিশ।
আটককৃতরা হলো, প্রণলা (৪০), রিয়া রিচিল (২২), সনি পলেন (২৫), আশা হাকিডক (২২), সজিব (২৭)।
এ ঘটনায় নিহতের ছোট ভাই মোহাম্মদ আব্দুস সামাদ বাদী হয়ে কুলাউড়া থানায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেছে।
আসামীদের জবানবন্দির সুত্রে পুলিশ জানায়, ইসমত লম্বাছড়ার একটি টিলায় পাহারাদারের দায়িত্ব পালন করতো। সে মদ খেয়ে প্রতিদিন আশেপাশে টিলায় বসবাসরত খাসিয়া ও গারো সম্প্রদায়ের লোকজনকে গালাগালি এবং মারধর করতো। ঘটনার দিন গত ১১ অক্টোবর রাত ৯টার দিকে ইসমত লম্বাছড়ায় পাহারার দায়িত্বে থাকা জাহিদের ঘরের পাশে গিয়ে তার স্ত্রীকে গালিগালাজ এবং দা দিয়ে ঘরের দেয়ালে কোপাতে থাকে। এসময় লম্বাছড়ার কেয়ারটেকার ফেরদৌস আহমদকে ওইখানে বসবাসরত বাসিন্দারা বিষয়টি জানায়।
এসময় ফেরদৌসের নির্দেশে ওই এলাকার বাসিন্দা ডাইব্বার স্ত্রী প্রণলা লাঠি দিয়ে ইসমতের পেছন দিক থেকে আঘাত করেন। এতে ইসমত মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। পরে একে একে ওই পাহাড়ের বসবাসরত গারো ও খাসিয়া পরিবারে বেশ কয়েকজন নারী-পুরুষ ইসমতকে লাঠি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে হত্যার পর লাশ পার্শ্ববর্তী একটি ছড়ার পাশে মাটিতে পুঁতে রাখে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুলাউড়া থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুর রহিম জানান, হত্যার দায় স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে পাঁচ অভিযুক্ত। পরে তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত। বাকী আসামীদের আটক করতে পুলিশী অভিযান অব্যাহত রয়েছে।