হাইব্রিড ও অনুপ্রবেশমুক্ত সিলেট জেলা আ লীগের নতুন নেতৃত্ব দেখার প্রত্যাশা

পার্থ সারথি দাশ পাপ্পু
প্রকাশিত হয়েছে : ২:০৬:৪৪,অপরাহ্ন ০২ নভেম্বর ২০১৯১৭৫৭ সালের ২৩শে জুন বাংলার শেষ স্বাধিন নবাব সিরাজুদ্দৌলার পতনের পর প্রায় দুশো বছর আমাদের এই ভারতীয় উপমহাদেশ শাসন করে ব্রিটিশ বেনিয়া।১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসনের কবল মুক্ত হলেও জন্ম নেয় ভারত পাকিস্তান দুটি আলাদা রাষ্ট্র।আমরা থেকে যাই পাকিস্তানের অংশে অর্থ্যাৎ পশ্চিম পাকিস্তান হিসেবে।শুরু থেকেই আমরা পূর্ববাংলার জনগন পশ্চিম পাকিস্তানের শাসনের নামে শোষণ আর নির্যাতনে নিঃষ্পেসিত হতে থাকি।পশ্চিমারা আমাদের ভাষা ও সংস্কৃতির উপর আঘাত হানে।অপরিচিত ভীনদেশী উর্দ্ধুকে আমাদের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে।এসকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে ছাত্র জনতার বিস্ফোরণের অংশ হিসেবেই ১৯৪৮ সালের ৪ঠা জানুয়ারী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে প্রথম প্রতিষ্ঠা পায় এশিয়া মহাদেশের সর্ববৃহত প্রাচীন ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
এরই ধারাবাহিকতায় ১৯৪৯ সালের ২৩শে জুন ঢাকার রোজ গার্ডেনে হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর হাত ধরে মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী কে সভাপতি আর শামসুল হক কে সাধারণ সম্পাদক করে জন্মনেয় পূর্বপাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ।আর ছাত্রলীগ আওয়ামী মুসলিম লীগের ভাতৃপ্রতিম ছাত্র সংগঠন হিসেবে রুপ নেয়।১৯৭০সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে পূর্বপাকিস্তান আওয়ামী মুসলিম লীগ সংখ্যাঘরিষ্ট প্রায় ২৭০টি আসন জয় লাভ করে।
পরবর্তীতে ধর্ম নিরেপেক্ষতা,গনতন্ত্র,সমাজতন্ত্র আর বাঙালি জাতিয়তাবাদের উপর ভিত্তি করে অসাম্প্রদায়িক সমাজ ব্যবস্থা বিনির্মাণে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ নামকরণের মধ্য দিয়ে আওয়ামীলীগ প্রতিষ্টা করেন।আওয়ামীলীগের নেতৃত্বেই ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি স্বৈরশাসকের বিরুদ্ধে বাঙালিরা সশস্ত্র সংগ্রামে অংশ গ্রহণ করে।ছিনিয়ে আনে লাল সবুজের একটি স্বাধিন মানচিত্র।১৯৫২সালের ভাষা আন্দোলন,৬২’র শিক্ষা আন্দোলন ৬৬’র দফা,৬৯’র গণ অভ্যুত্থ্যান ৭০’র নির্বাচন,৯০’র স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন,২০০৭সালের ওয়ান ইলিভেনের বিরুদ্ধে আন্দোলন সহ প্রতিটি আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ।জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ শেখ মুজিবুর রহমান হচ্ছেন সেই সংগঠনের মূল আদর্শ চেতণা।
এদেশের আপামর জনসাধারণের ভোট ও ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠা সর্বোপুরী একটি স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্টার ধারক ও বাহক বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ।মূলত বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কে বাদ দিয়ে এদেশের ইতিহাস কল্পনা করা যায়না।১৯৮১ সাল থেকে জাতির জনকের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দূরদর্শীতার সাথে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন।তাঁরই হাত ধরে আওয়ামীলীগ টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসে বাংলাদেশ কে আজ উন্নত রাষ্ট্র হিসবে প্রতিষ্টা করতে কাজ করছে।গনতন্ত্র চর্চার ধারাবাহিকতায় ডিসেম্বরে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় সম্মেলন অনুষ্টিত হবে।তার পূর্বে সারা দেশের প্রতিটি সাংগঠনিক ইউনিটে আওয়ামীলীগের সম্মেলনের মধ্য দিয়ে নতুন নেতৃত্ব সৃষ্টি হবে।
এরই মধ্যে ঘোষণা হয়েছে ৪ডিসেম্বর ঐতিহ্যবাহী সিলেট জেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন। সেই সম্মেলনের দিকে চেয়ে আছেন তৃণমূলের নেতৃবৃন্দ।এদিকে অনুপ্রবেশ ও হাইব্রীড মুক্ত নেতৃত্ব নির্বাচনের তাগিদ দিয়েছেন দলের শীর্ষনেতৃবৃন্দ।জননেত্রী শেখ হাসিনা’র দূর্বার সাহসীকতায় শুরু হয়েছে দলের ভিতরে শুদ্ধি অভিযান ।যা তৃণমূল থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত প্রশংসিত হয়েছে।তাই এবার আমাদের পত্যাশা যারা দূর্দিনে দলের পাশে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন পাশে থেকেছেন নেতাকর্মীদের, যারা রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করেছেন,ছাত্র রাজনীতির মধ্য দিয়ে উঠে আশা যারা দলের সাথে কখনোই বেঈমানী করেননি, এমন আদর্শিক নেতৃবৃন্দের সমন্বয়েই যেন নির্বাচিত হয় আগামীর সিলেট জেলা আওয়ামীলীগ।
যেখানে থাকবেনা কোন হাইব্রিড, অনুপ্রবেশকারী। আর তখনই আওয়ামীলীগের জন্য আমৃত্যু সংগ্রাম করা দূর্দিনের সাহসী নেতৃত্ব আ ন ম শফিকুল হক,ইফতেখার হোসেন শামীমদের মতো আদর্শবান নেতাদের স্বপ্ন পূরণ হবে। আর আমরা বঙ্গবন্ধু আদর্শের সেই সময়োপযোগী নেতৃত্ব দেখার অপেক্ষায় রইলাম।
জয় বাংলা
সিনিয়র সহ-সভাপতি বিশ্বনাথ উপজেলা ছাত্রলীগ । ছাত্র-সিলেট ল কলেজ।