এই শতাব্দিতেই অমরত্ব পাবে মানুষ!

লিটন দেব জয় ::
প্রকাশিত হয়েছে : ৩:৫৯:৪৬,অপরাহ্ন ০৪ অক্টোবর ২০২১বিজ্ঞানীরা গবেষণায় দেখেছেন, “মৃত্যুর পরও শরীরে প্রাণ ফিরিয়ে আনা সম্ভব।” এখন অনেকের কাছে ব্যাপারটা অবিশ্বাস্য মনে হলেও আগামীর পৃথিবীতে এটা একেবারেই কমন একটা বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।
সোজা কথায়, মানুষ অমরত্ব পাবে। মানে তিন চারশ বছর অনায়াসে বেঁচে থাকবে। ইবনে সিনা তো অনেক আগেই বলেছিলেন, “যদি শরীরে ময়লা-ধুলোবালি প্রবেশ না করতো মানুষ ৮০০-৯০০বছর বাঁচতো।”
ন্যানোবোট প্রযুক্তি এ ক্ষেত্রে বিশেষ অবদান রাখবে বলে মনে হচ্ছে। ন্যানোবোট হচ্ছে একটি ছোট্ট যন্ত্র, যার নকশা বা ডিজাইন করা হয়েছে এমনভাবে যাতে সহজে শরীরের সঙ্গে সেঁটে দেওয়া যায়। এ পদ্ধতি অনুযায়ী লাখ লাখ ন্যানোবোট ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকবে আমাদের রক্তে। কৃত্রিম হৃৎপিণ্ড সংযোজনসহ ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা জীবাণু নিধন এর সবই করবে ন্যানোবোট।
২০৪৫ সালের মধ্যে মানুষ এ পদ্ধতিতে অমরত্বের সূত্র খুঁজে পাবে বলে আশাবাদী বিজ্ঞানীরা। ন্যানোবোট তার প্রোগ্রামিং অনুযায়ী চলবে। মানুষ আহত হলে অবিশ্বাস্য দ্রুতগতিতে সেরে উঠবে।
সাইবারনেটিক্স বা সাইবর্গ গবেষণায়ও বিজ্ঞানীরা এগিয়ে গেছেন বহুদূর। এটি এখন কেবল বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনীতেই নয়, বাস্তবেও মিলছে। বিশ্বের প্রথম সাইবর্গ হচ্ছেন প্রফেসর কেভিন ওয়ারউইক। তার বাহুতে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে একটি চিপ। এর মাধ্যমে তিনি একটি রোবটিক বাহু নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
মানবদেহে রয়েছে বিপুল পরিমাণ কোয়ান্টাম এবং বায়োলজিক্যাল স্টোরেজ ও পর্যাপ্ত বৈদ্যুতিক ক্ষেত্র বা ইলেকট্রিক্যাল ফিল্ড। তাই তাত্ত্বিকভাবে মানবদেহে প্রোগ্রাম সেট করা এবং ডাটা প্রসেস করা সম্ভব। আর এটি করতে পারলেই বিকট দর্শন যন্ত্রপাতিসদৃশ সাইবর্গের পরিবর্তে প্রতিটি মানবদেহকেই পরিণত করা যাবে সাইবর্গে।
প্রথম পর্যায়ে দেহের ভেতরে মাইক্রোচিপ স্থাপনের মাধ্যমে মানবদেহকে সাইবর্গে পরিণত করার কথা ভাবা হলেও এর বিকল্প চিন্তাও চলছে। সে ক্ষেত্রে দেহের ভেতরে চিপ প্রতিস্থাপনের প্রয়োজন হবে না। কেবল সাধারণ বায়োলজিক্যাল প্রোগ্রামিংই যথেষ্ট হবে। পুরো বিষয়টিই অস্বাভাবিক এবং অবিশ্বাস্য মনে হতে পারে, কিন্তু দূর ভবিষ্যতে এটাই সত্যি হতে যাচ্ছে। গবেষকরা সে লক্ষ্য পূরণেই কাজ করে চলেছেন।
প্রতিটি উচ্চতর জীব এমন কিছু জিন বহন করছে, যা ওই জীবটির মৃত্যু ঘটায়। এ ধরনের জিনকে লিথ্যাল জিন বা মারণ জিন বলে। লিথ্যাল জিন বিশেষ কোনো জিন নয়, খুব সাধারণ একটি জিন, যা মৃত্যুকে ত্বরান্বিত করে ঘটায় অসাধারণ একটি ঘটনা। এখন পর্যন্ত এই মৃত্যুকে পরাজিত করতে বিজ্ঞানীরা নানা রকম প্রতিকার আবিষ্কারের চেষ্টা করছেন। যাতে বেশ অগ্রগতিও লাভ করেছেন তারা।
এ ছাড়া মানব ক্লোনিং, মানুষের ব্রেন কম্পিউটার প্রোগ্রামে সংরক্ষণ করেও অমর হতে পারবে মানুষ।