সিলেট জেলা পুলিশের সকল সদস্যদের অবদান ‘স্মৃতি ৭১’

লুৎফর রহমান
প্রকাশিত হয়েছে : ১০:৩৮:৩৪,অপরাহ্ন ১৬ ডিসেম্বর ২০২১
হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা পেয়েছি মহান স্বাধীনতা। ৩০ লক্ষ জীবনের বিনিময়ে পেয়েছি আমাদের এই স্বাধীনতা।পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ১৯৭১ সালে সিলেটে নানা রকম নৃশংস হত্যাযজ্ঞ চালায় এবং নাম না জানা অনেক মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষের মরদেহ সিলেট পুলিশ লাইন্সে মাটিচাপা দিয়ে রাখে। তাদের কাছে সেগুলো শুধুমাত্র মৃতদেহ ছিল। কিন্তু আমাদের কাছে হচ্ছে দেশের জন্য জীবন দেয়া মানুষের দেশপ্রেম ও সাহসিকতার প্রতিচ্ছবি। তাদের স্মৃতি রক্ষায় আমাদের পুলিশ লাইন্সে শুধুমাত্র একটি গণকবর ছিল।
পুলিশ সুপার সিলেট মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম স্যার সেই স্মৃতিকে পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার সিদ্ধান্ত নিলেন “এই কবরকে স্থায়ী রূপ দিতে হবে,নাম হবে স্মৃতি ৭১”।মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতির বাহক হিসেবে একটি স্মৃতি স্তম্ভ নির্মাণ সহজ কাজ নয়। প্রয়োজন ছিল এমন ব্যক্তির যারা আর্থিক বিষয়গুলো গুরুত্ব না দিয়ে ভালোবাসা দিয়ে কাজটা উঠিয়ে আনতে পারেন। ইচ্ছা থাকলে উপায় হয় এই প্রবাদ বাক্যের প্রমাণ পাওয়া যায় যখন আমরা দুজন পারদর্শী মানুষের সহায়তা পেলাম।
নানারকম প্রতিকূলতা পেরিয়ে আমরাও বাস্তবায়নে লেগে গেলাম।পুলিশ সুপার মহোদয়ের নিবিড় তত্ত্বাবধানে,নিয়মিত পরিদর্শন ও দিকনির্দেশনায় সিলেট জেলা পুলিশের সকল সদস্যের অবদানের ফলে নির্মিত হলো মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাহক একটি স্মৃতিস্তম্ভ স্মৃতি ৭১। কৃতজ্ঞতা জানানোর ভাষা আমার নেই,শুধুমাত্র শ্রদ্ধা জানাতে চাই যারা এই বাস্তবায়নে নিরলস পরিশ্রম করে গেছেন। মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গকারী ব্যক্তিদের স্মৃতিকে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মের নিকট ছড়িয়ে দিতে জেলা পুলিশের ক্ষুদ্র প্রয়াস “স্মৃতি ৭১”।
-অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া)